দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি ছাত্র রাজনীতি নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি ছাত্ররাজনীতির সংস্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম নিজেকে ঢাবি শাখার সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
ফ্যাসিস্ট শোষণের বিরুদ্ধে সাদিক কায়েমের বক্তব্য
সাদিক কায়েম তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, “ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, বরং রাজনীতির সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি থাকে না, বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা।” তিনি আরও বলেন, “ছাত্র রাজনীতির সংস্কারে অবশ্যই ২৪-এর শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে। না হলে আমাদের স্বাধীনতা বৃথা যাবে।”
আমাদের রাজনীতি বিভাগের অন্যান্য খবর দেখুন
ছাত্ররাজনীতির সংস্কারের প্রস্তাবনা
সাদিক কায়েম ছাত্র রাজনীতিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা চাই ছাত্র রাজনীতির সংস্কার হোক গবেষণা এবং পলিসি ডায়ালগের মাধ্যমে। এতে একাডেমিক পরিবেশে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ছাত্র সংসদ ভিত্তিক রাজনীতি, যেখানে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান।”
তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতের ছাত্র রাজনীতিতে মত-দ্বিমত থাকবে, কিন্তু সহিংসতা থাকবে না। গেস্টরুম, গণরুমের মতো কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।”
রাজনৈতিক সংস্কারের আহ্বান
তিনি রাজনৈতিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা এমন এক রাজনীতির সংস্কার চাই, যেখানে ভিন্নমতকে সম্মান করা হবে, এবং স্বৈরাচারী হয়ে উঠার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।”
এছাড়া, সম্প্রতি ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি সভায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এবং ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আহনাফ আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সর্বশেষ প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালিয়েছিল ছাত্রশিবির।