ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা: সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিপর্যস্ত হয়েছে। অসহায় মানুষগুলো তাদের বাসস্থান, ফসলের মাঠ, এবং রোজগারের উৎস হারিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বাতিঘর ফাউন্ডেশন বন্যাকবলিত এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে, যা ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা: সহায়তা করেছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বাতিঘর ফাউন্ডেশন দেশের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে একটি বৃহৎ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই মহতী উদ্যোগটি ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা প্রায় এক হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরাসরি উপকৃত করেছে।
বাতিঘর ফাউন্ডেশনের মানবিক উদ্যোগ
বাতিঘর ফাউন্ডেশন বন্যা ত্রাণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিয়মিত মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। বাতিঘর ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রমে নিবেদিতপ্রাণ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ফাউন্ডেশনের লক্ষ্যই হচ্ছে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা এবং সমাজের অসহায় ও দুর্বল মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের এই মহান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এবার তারা খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উপহার সামগ্রী বিতরণে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা
এই বিশাল কার্যক্রমে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জনাব মাহবুবুল ইসলাম, রাজু আহমেদ, ও মাসিকুল ইসলাম। এছাড়াও, ফাউন্ডেশনের সক্রিয় সদস্য হৃদয়, সাওন, ইমন, মেহেদী প্রমুখের নিরলস পরিশ্রম এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। তারা সবাই নিজেদের সময় ও শ্রমকে নিবেদন করে, এই উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই বন্যা ত্রাণ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাতিঘর ফাউন্ডেশন প্রায় ১০০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ: গণতন্ত্র ও সংকট নিরসনের সম্ভাব্য পথ
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ও প্রতিক্রিয়া
উল্লেখযোগ্য যে, এই কার্যক্রমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন দর্শক২৪.কম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ আনোয়ার, মোঃ মকসুদ, মোঃ শামীম, জান্নাতুল ফেরদৌস মীম, ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার মোবারক করিম, * সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি। তারা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ফাউন্ডেশনটি স্থানীয় জনগণের মাঝে একটি নতুন উদাহরণ স্থাপন করেছে, যা আগামী দিনে অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলোকেও উৎসাহিত করবে।
ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিতরণকৃত সামগ্রী
বাতিঘর ফাউন্ডেশনের এই মহতী উদ্যোগে বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনকে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এতে ছিল চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। এই খাদ্য সামগ্রী পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তারা জানান, এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে এ ধরনের সহায়তা তাদের বেঁচে থাকার আশা জাগিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা সবসময়ই মানবতার সেবায় নিবেদিত থাকতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হলো সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের এই উদ্যোগ শুধু সাহায্য নয়, এটি এক ধরনের মানবিকতা এবং সহমর্মিতার বার্তা বহন করে।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ জনগণ বাতিঘর ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের সমাজে অনেক বেশি প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, অন্যান্য সামাজিক সংগঠনও এই উদাহরণ অনুসরণ করবে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে।”
ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগের প্রশংসা শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ প্রশংসিত হয়। অনেকেই ফাউন্ডেশনের এই মহতী উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাদের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন।
বাতিঘর ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আগামী দিনগুলোতে আরও বৃহৎ পরিসরে এবং আরও বিস্তৃত এলাকায় এই ধরনের সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা বলেন, “আমরা আশা করি, আমাদের ছোট্ট প্রচেষ্টা সমাজে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে এবং মানুষের কষ্ট লাঘব করতে সাহায্য করবে।” ফাউন্ডেশনটি সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছে, যেন তারা আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং মানবতার সেবায় নিজেদের সম্পূর্ণভাবে নিবেদন করতে পারে।