জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি) ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির জন্য নতুন মূল্যায়ন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে। এই কাঠামো অনুযায়ী এখন থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। দশম শ্রেণি শেষে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষা (এসএসসি) এই পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
গত সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে এনসিসিসির এক বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা কিছু সংশোধনীর সুপারিশ করেছেন, যা যুক্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান জানান, এনসিটিবি খসড়া মূল্যায়ন কাঠামো উপস্থাপন করেছিল এবং কিছু সংশোধনীর পর তা চূড়ান্ত করা হবে।
অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, মূল্যায়ন কাঠামোর প্রস্তাবনায় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চূড়ান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক থাকবে। এসএসসি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও পরের শ্রেণিতে উত্তরণের সুযোগ থাকবে।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।
২০২২ সাল থেকে এনসিটিবি নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। প্রচলিত নম্বর ও গ্রেডিং পদ্ধতি বাতিল করে প্রথমে ত্রিভুজ, বৃত্ত ও চতুর্ভুজ দিয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতা মূল্যায়ন শুরু হয়। সমালোচনার মুখে সরকার সেই পদ্ধতি থেকে সরে আসে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেন।
এই কমিটির মতামতের ভিত্তিতে এনসিটিবি বিভিন্ন পর্যায়ে মূল্যায়নের খসড়া চূড়ান্ত করে এবং তা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এখন মন্ত্রণালয় এই মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় উপস্থাপন করেছে এবং অনুমোদন পেয়েছে।