সদ্য ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে এই রিটটি করেছেন নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া। রিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ছাত্র ও সাধারণ জনতাকে ‘নির্বিচারে হত্যার’ দায়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা উচিত।
প্রধান দাবিগুলো
রিটে উল্লেখিত প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনার নামে থাকা সব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করার নির্দেশনা। এছাড়াও, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকে সর্বনিম্ন তিন বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বিদেশে পাচারকৃত ১১ লক্ষ কোটি টাকা দেশে ফেরত আনার বিষয়টিও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে দাবি
রিটে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলির। এই দাবিটি নতুন সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
রিটের প্রেক্ষাপট
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে ক্ষমতাচ্যুত হয়। সেদিনই দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। দলের অন্যান্য নেতারাও আত্মগোপনে চলে গেছেন বা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
আইনি প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য ফলাফল
রিটকারী আইনজীবী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, রিটের বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্টে রুল এবং আদেশ চাওয়া হয়েছে। এখন আদালত এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেবে, তা দেখার অপেক্ষা। তবে, রিটটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে কাজ করছে। তবে, তাদের চ্যালেঞ্জগুলো অনেক বড় এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে তাদের কাজ দ্রুত ও কার্যকর করতে হবে।